সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

জি এম কাদেরের ভোটে আসার নেপথ্যে স্ত্রীর আসন

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:৫৭

জাতীয় পার্টিকে (জাপা) সমঝোতার ২৬টি আসনে আটকে রাখতে দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে সন্তুষ্ট করা হয়েছে। তাঁর স্ত্রী শেরিফা কাদেরের জন্য ঢাকা-১৮ আসনটি ছেড়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই আসনে সমঝোতা হওয়ার পরই নির্বাচনে থাকার ঘোষণা দিয়েছে জাপা।

দুই দলের একাধিক সূত্র জানায়, দুই সপ্তাহ ধরে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন মহলে দেনদরবার করেও ঢাকার কোনো আসনে সমঝোতা করতে পারছিল না জাপা।

ঢাকার কোনো আসন ছাড় না দেওয়ার বিষয়ে এত দিন আওয়ামী লীগ অনড় ছিল। শেষবেলায় এসে অবস্থান বদলাল দলটি।
ঢাকা-৪ ও ৬ আসনে বর্তমানে যে দুজন সংসদ সদস্য রয়েছেন, তাঁরা দুজনই জাপার। তাঁরা হলেন দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও কাজী ফিরোজ রশীদ।

দুজনই ২০০৯ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য। এবার তাঁদের দুজনের আসনে সমঝোতা হয়নি। আসন সমঝোতা না হওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন কাজী ফিরোজ রশীদ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী নিয়ে গত শুক্রবার জাপার সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগ যে ২৬টি আসনে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছিল, সেই তালিকায় সিলেট-৩ আসনও ছিল।

শেরিফা কাদেরকে ঢাকা-১৮ আসনে ছাড় দিতে গিয়ে বাদ পড়েছে সিলেটের এই আসন। এই আসনে জাপার প্রার্থী আতিকুর রহমান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় পার্টির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘জি এম কাদের দলের চেয়ে নিজের স্বার্থ বেশি দেখেছেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের আসন ছাড় দিয়ে স্ত্রীর জন্য ঢাকার আসন বাগিয়ে নির্বাচনে গেলেন।’

দিনশেষে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ২৬ আসনে সমঝোতা করেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো জাতীয় পার্টিকে।


এর মধ্য দিয়ে আসন সমঝোতা নিয়ে দুই সপ্তাহ ধরে চলা নাটকীয়তার অবসান ঘটল। সমঝোতা হওয়া আসনগুলো থেকে নৌকার প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তবে ২৬ আসনের মধ্যে ২৪টিতে জাপা প্রার্থীদের লড়তে হবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে। জাপা এবার মোট ২৮৩ আসনে ভোটে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এবার নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ২০০৮, ২০১৪ কিংবা ২০১৮ সালের মতো নয়। আসন সমঝোতা হলেও জাপা প্রার্থীদের স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলের প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। আগের তিন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাপা জোটবদ্ধ কিংবা সমঝোতা করে নির্বাচন করেছিল, কিন্তু জাপা প্রার্থীদের এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে হয়নি।

সমঝোতা হওয়া ২৬ আসন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত নির্বাচনে ছাড় পাওয়া আসনগুলোর মধ্যে ১১টিতে এবার সমঝোতা হয়নি। তবে নতুন ১১টি আসনে সমঝোতা হয়েছে। বর্তমান সংসদ সদস্য জাপার কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, নাসরিন জাহান রত্নাসহ গুরুত্বপূর্ণ সাত এমপির আসনে সমঝোতা হয়নি।

এবার চার দফা আলোচনা করেও প্রত্যাশিত আসনে ছাড় পায়নি জাপা। দলের প্রার্থীদের বিজয়ী হওয়ার নিশ্চয়তাও মেলেনি। আসন সমঝোতা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা করেও আসনসংখ্যা বাড়াতে পারেনি দলটি। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে থাকবে কি না, তা নিয়ে নানা সংশয় ছিল গত কয়েক দিন। এ নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন সবার দৃষ্টি ছিল জাপার দিকে। বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে ভোটে থাকার ঘোষণা দিয়ে সব সংশয় ও গুঞ্জনের অবসান ঘটান দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

চুন্নু বলেন, ‘সব বাধা অতিক্রম করে আমরা নির্বাচন করছি। কোনো চাপ নয়, স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ভোটে এসেছি।’ তিনি দাবি করেন, ‘কোনো জোট হয়নি। আসন সমঝোতা হয়নি। তবে কিছু আসনের ক্ষেত্রে কিছু কৌশল রয়েছে।’

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর