সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

২১৭ বার কোভিডের টিকা নিয়েছেন ৬২ বছরের বৃদ্ধ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৮

সালটা ২০২০। কোভিড মহামারিতে জর্জরিত সারা দুনিয়া। মহামারির হাত থেকে বাঁচার রক্ষাকবচ বলতে শুধুই টিকা। বিভিন্ন দেশের সরকারি তরফে প্রচার করা হল, অবিলম্বে টিকা নেওয়ার কথা। সম্প্রতি কোভিড টিকা সম্পর্কিত একটি তথ্য ঘুম উড়িয়েছে বিজ্ঞানীদের। ৬২ বছর বয়সি এক জার্মান ব্যক্তি দাবি করেছেন যে, তিনি নাকি মোট ২১৭ বার কোভিডের টিকা নিয়েছেন। ব্যক্তির এই দাবি শুনে চমকে গিয়েছেন গবেষকরা। এখন তাঁরা ওই ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন। একাধিক বার টিকা গ্রহণ ব্যক্তির শরীরে ঠিক কী প্রভাব ফেলেছে, সেই নিয়েই চলছে গবেষণা।

সেই বৃদ্ধ প্রথমে সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান নিজের টিকা নেওয়ার কথা। বৃদ্ধের এমন দাবি শুনে মিউনিখ ও ভিয়েনার চিকিৎসকেরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বৃদ্ধের কিছু শারীরিক পরীক্ষা করার অনুমতি চান। বৃদ্ধও চিকিৎসকের অনুরোধে সম্মতি দেন। ইনস্টিটিউট অফ মাইক্রোবায়োলজি-ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি, ইমিউনোলজি ও হাইজিনের ডিরেক্টর কিলিয়ান স্কুবার লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘‘আমরা সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে এই বিষয়টি জানতে পারি। তার পরে আমরা ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করি, বেশ কয়েকটি পরীক্ষাও করা হয়। পরীক্ষার পর আমরা জানতে পারি ওই ব্যক্তি ৯ মাসের ব্যবধানে আটটি ভিন্ন ধরনের ১৩৪টি কোভিড টিকা নিয়েছেন। মোট ২৯ মাসের ব্যবধানে ওই ব্যক্তি ২১৭ বার কোভিড টিকা নিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ওই ব্যক্তির শরীরে টিকার কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।’’

বেশ কিছু গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, হাইপার ভ্যাকসিনেশন অর্থাৎ কোনও নির্দিষ্ট রোগের বিরুদ্ধে একাধিক টিকাকরণ রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। এর ফলে শরীরের অ্যান্টিজেনগুলি ভাইরাসের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যায়, যার ফলে টিকাগুলির কার্যকারিতা কমে যায়। বিজ্ঞানীরা জানান, ওই ব্যক্তির শরীরে ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে একাধিক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ওঁর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর