সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ঢামেকে তিন নারীর মরদেহ

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৬

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই গৃহবধূসহ এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে, তারা আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করলেও বিস্তারিত তদন্ত করছে পুলিশ।


মরদেহটি ৩টি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতরা হলেন-যাত্রাবাড়ীর গৃহবধু জু্ঁই আক্তার চাঁদনি (১৮), কদমতলীর গৃহবধু রুবিনা রিমি (২২) ও গুলশানের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মুসকান মিম (২৩)।

শনিবার (৯ মার্চ) তিনজনের মৃত্যুর বিষয়ে জানা গেছে।

জুঁইয়ের সুরতহাল প্রতিবেদনে যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তামান্না আক্তার উল্লেখ করেন, জুঁইয়ের বাড়ি রংপুরের তাজহাট থানার আদর্শপাড়া গ্রামে। বাবার নাম হারুন অর রশিদ। স্বামী রিংকুকে নিয়ে যাত্রাবাড়ী গোবিন্দপুর কবরস্থান রোডে নানা আলী হোসেনের সঙ্গে থাকতেন। শুক্রবার স্ত্রী জুঁইয়ের মোবাইল ফোনে একটি আপত্তিকর ছবি দেখে ফেলেন স্বামী রিংকু। এনিয়ে সদ্য বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জেরে শুক্রবার রাতে রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন তিনি। দেখতে পেয়ে স্বামী থানায় খবর দিলে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে, মৃত রুবিনা রিমির মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিনাত রেহানা উল্লেখ করেন, রুবিনার বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলায়। বাবার নাম রুস্তম আলী। বর্তমানে কদমতলী উত্তর মুরাদপুর হাজী লাল মিয়া রোডে একটি বাড়িতে স্বামী মো. স্বপন মিয়ার সঙ্গে থাকতেন। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই বাসা থেকে শায়িত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্বামী দাবি করেছেন, তার সঙ্গে মনোমালিন্য করে মধ্যরাতে গ্রিলের সঙ্গে রশি পেচিয়ে ফাঁস দিয়েছেন রুবিনা।

রুবিনার ভগ্নিপতি মো. আলামিন জানান, এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রুবিনা। রাতে রুবিনার স্বামী নিজেই তাদের ফোন দিয়ে জানায়, রুবিনা আর নেই। সঙ্গে সঙ্গে তারা ওই বাসায় গিয়ে রুবিনার মরদেহ দেখতে পান। রুবিনা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেছে তার স্বামী। তবে পরিবার তার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন।

অপরদিকে, মৃত মুসকান মিমের বাড়ি পটুয়াখালির গলাচিপা উপজেলার পূর্বপানপট্টি গ্রামে। বাবার নাম ফরিদ হাওলাদার।

মুসকানের বড় বোন সুবর্ণা বেগম জানান, মুসকান ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী। মুসকান একাএকা গুলশান সুবাস্তু নজর ভ্যালির ১৫ তলায় একটি বাসায় থাকতেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুসকান নিজেই ভগ্নিপতি আশরাফুল ইসলাম হৃদয়কে ফোন করে জানান, তার প্রচন্ড পেটব্যথা করছে। এর কিছুক্ষণ পর ভগ্নিপতি গুলশানের ওই বাসায় গিয়ে মুসকানকে স্থানীয় পপুলার হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি দেখেন মধ্যরাতে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মুসকান তাদের জানিয়েছিলেন, পোকামাকড় নিধনের কীটনাশক পান করেছেন তিনি।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া মুসকানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি গুলশান থানা পুলিশ তদন্ত করছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর