সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সদকাতুল ফিতর

এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ

প্রকাশিত:
৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪২

মহান রব্বুল আলামিনের ফরয বিধানাবলীর মধ্যে রমযানুল মোবারকের রোযার বিধান উল্লেখযোগ্য। রোযাদার ব্যক্তি যতই যত্নবান হোক না কেন রোযার মধ্যে কোনো না কোনো ত্রুটি হয়েই যায়-এটা স্বাভাবিক। পানাহার এবং রোযা ভঙ্গকারী বিষয়গুলো থেকে বেঁচে থাকা অনেকটা সহজ কিন্তু অনর্থক কথাবার্তা, বাজে কাজ এবং অনুচিত ও অসমীচীন কথাবার্তা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। একারণে রোযার এরকমের অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতি পূরণের জন্য রামাযানুল মোবারকের শেষে ইসলামী শরীয়াহ সাদাকাতুল ফিতরকে ওয়াজিব সাব্যস্ত করেছে।

হাদীস শরীফে বর্নিত হয়েছে :-


হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: বলেছেন,রাসুল সা: সাদাকাতুল ফিতর জরুরি সাব্যস্ত করেছেন,যা রোযাদারের জন্য বেহুদা কথা ও অশ্লীল কাজকর্ম থেকে রোযাকে পবিত্র করার উপায় এবং মিসকিনদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা। যে ব্যক্তি ঈদের নামাযের পূর্বে সাদকায়ে ফিতর আদায় করে আল্লাহর নিকট তা মকবুল যাকাত বলে গণ্য হয়। আর যে ব্যক্তি ঈদের নামাযের পর আদায় করে তাও সাদাকাসমূহ থেকে একটি সাদাকা হিসেবে পরিগণিত হয়। -ইবনে মাজাহ : ১৮২৭, আবু দাউদ : ১৬০৯।

সদকায়ে ফিতর:
ঈদুল ফিতরের দিন ভোরবেলা যে সদকা ওয়াজিব হয় তাকে সাদকাতুল ফিতর বলে।

সদকায়ে ফিতরের হুকুম:
যে ব্যক্তি জীবিকা নির্বাহের অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ ছাড়া এ পরিমাণ সম্পদের মালিক যার উপর যাকাত ফরজ,তার উপর ঈদুল ফিতরের দিন সাদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। -হিদায়া : ১/২০৮।

সদকাতুল ফিতর কখন ওয়াজিব:
মূলত সদকাতুল ফিতরের সম্পর্ক রোযার সাথে। ঈদের দিন সুবহে সাদিকের সময় হতে সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়। কাজেই রোযা পালন শেষে ঈদের খুশিতে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক মুসলমানের পরিবারের প্রতিটি সদস্য এমনকি ঈদের দিন সুবহে সাদেকের পূর্বে যে সন্তান জন্মগ্রহণ করবে তার পক্ষ থেকেও তা আদায় করা ওয়াজিব।

নেসাব পরিমাণ মালের মালিক যিনি,সদকায়ে ফিতর আদায় করা তার পক্ষ থেকে ওয়াজিব।
না-বালিগ সন্তান নিজে মালিকে নিছাব না হলে তার পক্ষ থেকে সাদকায়ে ফিতর আদায় করা পিতার উপর ওয়াজিব।

হাদীসে বর্ণিত পন্য দ্বারা নিয়মানুযায়ী সদকায়ে ফিতর আদায় করতে হবে।

সদকাতুল ফিতর কখন আদায় করবে:-
সদকাতুল ফিতর ঈদের দিন ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে আদায় করা উত্তম। আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকজন ঈদের নামাযের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পূর্বে সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।-বুখারী : ১৫০৯।

অবশ্য কোনো কোনো সাহাবী থেকে ঈদের কয়েকদিন পূর্বেও ফিতরা আদায়ের কথা প্রমাণিত আছে। যেমন নাফে রাহ. বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. ঈদের দু’ একদিন পূর্বেই তা (ফিতরা) আদায় করে দিতেন।-আবু দাউদ : ১৬০৬।

সুতরাং সদকাতুল ফিতর রমযানের শেষ দিকেই আদায় করা উচিত। এতে করে গরীব লোকদের জন্য ঈদের সময়ের প্রয়োজন পূরণেও সহায়তা হয়।

মহান আল্লাহ পাক সঠিকভাবে ফিতরা আদায় করার তাওফিক দান করুন । আমীন।

লেখক : মুহাদ্দিস - জামিয়া ইসলামিয়া মারকাযুদ দ্বীন, তিতাস, কুমিল্লা।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর