সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

আশ্রয় মিলছে না আশ্রয় কেন্দ্রে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
২৪ আগষ্ট ২০২৪, ১১:৪১

চট্টগ্রামের মিরসরাই, ফটিকছড়ি, রাউজান ও হাটহাজারীতে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে আকুতি জানাচ্ছেন বন্যার পানিতে আটকে থাকা পরিবারের লোকজন। পর্যাপ্ত নৌকা ও বোট না থাকায় তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া যাচ্ছে না।

মিরসরাই উপজেলার ধুম ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকায় আটকা পড়েছে মোহাম্মদ ফয়সালের বোনের পরিবার। আশ্রয় পেতে মোবাইল ফোনে একটি নৌকার জন্য বার বার আকুতি জানান পরিচিতজনদের। নৌকা না থাকায় আশ্রয় কেন্দ্রে আনা সম্ভব হচ্ছে না তাদের। এ চিত্র শুধু মিরসরাই উপজেলার নয়, বন্যাকবলিত বেশিরভাগই উপজেলার চিত্র এটি।

মিরসরাইয়ের গোলকেরহাট এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধ মোহাম্মদ ইলিয়াস কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘বাড়ি-ঘর আসবাবপত্র সবকিছু আল্লাহর কাছে সপে দিয়ে কোনোমতে প্রাণ নিয়ে বেঁচে এলাম। পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছু নেই। এখন আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে হবে। শুক্রবার পানি বেশি ছিল না, তাই বাড়ি থেকে বের হইনি। আজ পুরো ঘর পানিতে ডুবে গেছে, আর থাকতে পারছি না। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র চলে আসছি। সবকিছু আল্লাহর কাছে সপে দিয়ে প্রাণ নিয়ে আসছি’।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যাকবলিত অনেক এলাকার লোকজন বৃহস্পতিবার বাড়ি ছেড়ে যায়নি। পরে রাতে পানি বেড়ে যাওয়ায় অনেকে ছাদে আশ্রয় নেন। শুক্রবার সকালে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে চাইলে নৌকা সংকটের কারণে আসতে পারছে না। সন্ধ্যার মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে না পারলে চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে তাদের জীবন। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ফেনী নদী তীরবর্তী মিরসরাইয়ের চারটি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করেরহাট ইউনিয়নের জয়পুর পূর্বজোয়ার, পশ্চিম জোয়ার, কাটাগাং, অলিনগর, হাবিলদারবাসা, ছত্ত্বরুয়া, হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর, গনকছড়া, মধ্যম আজমনগর; ধুম ইউনিয়নের শুক্রবার ইয়ারহাট, মোবারকঘোনা, শান্তিরহাট, নাহেরপুর, গোলকেরহাট, মৌলভীবাজার, মিনা বাজার ও আনন্দ বাজার এলাকায় শত শত মানুষ আটকা পড়েছেন। রাউজান উপজেলার পশ্চিম নোয়াপাড়া, পালোয়ানপাড়া, মোকামীপাড়া, সাম মাহালদারপাড়া, ছামিদর কোয়াং, কচুখাইন, দক্ষিণ নোয়াপাড়া, মইশকরম, সওদাগরপাড়া, সুজারপাড়া, পূর্ব উরকিরচর, খলিফার ঘোনা, বৈইজ্জাখালি, বাগোয়ান, পশ্চিম গুজরা, গহিরা, নোয়াজিশপুর, চিকদাইর, ডাবুয়াসহ কয়েকটি গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। হাটহাজারী উপজেলার বন্যায় প্লাবিত এলাকার মধ্যে রয়েছে ফরহাদাবার, মান্দাকীনি, বুড়িশ্চর, শিকারপুর, গড়দোয়ারা, দক্ষিণ মাদার্শা, উত্তর মাদার্শা, মেখল, পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ড, নাঙ্গলমোড়া, ছিপাতলী। হালদা নদীর পানি উপচে পড়ে তীরবর্তী এলাকার বাড়িঘর পানিতে ডুবে রয়েছে।

মিরসরাই উপজেলা ইউএনও মাহফুজা জেরিন জানান, সবাইকে পানি বেড়ে যাওয়ার আগে নিরাপদ স্থানে যেতে বলা হলেও অনেকে যায়নি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে পানি বেড়ে যাওয়ায় এখন নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার আকুতি জানাচ্ছেন। আমাদের সাধ্যমতো নৌকা, বোট পাঠাচ্ছি। তবে মানুষের তুলনায় নৌকা অপ্রতুল।

ফটিকছড়ির ইউএনও মোজ্জামেল হক চৌধুরী বলেন, সকাল থেকে হালদা নদীর পানি কমতে শুরু করে। এতে ওই এলাকায় বন্য পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। পানি নামছে ধীরে। অনেকেই ত্রাণ ও বোট নিয়ে এসেছেন। তবে বড় বোট নামানো যাচ্ছে না। আবার রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় সড়ক পথেও সব এলাকায় যাওয়া যাচ্ছে না।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর