সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী-ভাশুর আটক

তছলিমুর রহমান, লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত:
১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:২৯

লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে ফাতেমা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তার স্বামী রাজু (২৫) ও ভাসুর বাবলুকে (২৭) বেঁধে রাখে নিহতের পরিবার। পরে পুলিশ তাদের দুজনকে আটক করেছে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদনগর গ্রামের নিহত ফাতেমার বাবার বাড়ি থেকে অভিযুক্ত দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। এর আগে ভোরে ওই গ্রামের একটি পুকুরে ফাতেমার মরদেহ ভাসতে দেখা যায়।

ফাতেমা মোহাম্মদ নগর গ্রামের মৃত সাইফুল্লাহ মওলানার মেয়ে। রাজু ও ফাতেমার সংসারে রুবি নামে চার বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। অভিযুক্ত রাজু ও বাবলু একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজের বাড়ির মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে। রাজু পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। তার আরও এক স্ত্রী রয়েছে। ফাতেমা তার প্রথম স্ত্রী।

ফাতেমার স্বজনদের অভিযোগ, যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে ফাতেমাকে হত্যা করা হয়েছে। এর আগেও তাকে নির্যাতন করা হতো।

নিহতের বড় বোন রাবেয়া আক্তার বলেন, ৫ বছর আগে আমার বোনের সঙ্গে রাজুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার বোনকে জ্বালাতন করতো, যৌতুক চাইতো। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে জমি বিক্রি করে তাকে বিদেশ পাঠানো হয়। এক মাসের মাথায় বিদেশ থেকে চলে এসে আমার বোনকে আবার নির্যাতন শুরু করে।

বড় ভাই মো. আবদুল্লাহ বলেন, প্রায় ১৫ দিন থেকে আমার বোন ও তার স্বামী আমাদের বাড়িতে ছিল। সোমবার ভোরে ঘরের পাশের একটি পুকুরে আমার বোনের মরদেহ পাওয়া যায়। ঘরে তারা দুইজন ও তাদের মেয়ে ছিল। আমার বোনকে তার স্বামীই হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলে দেয়। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা টাকা দিয়ে রাজুকে বিদেশ পাঠিয়েছিলাম। এরপরও আমার বোনকে শান্তিতে রাখেনি। কয়েক মাস আগে রাজু অন্যত্র বিয়ে করে। এ নিয়ে তাদের সংসারে অশান্তি আরও বেড়ে গিয়েছিল।

স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য তাজ নাহার বেগম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যাই। ফাতেমাকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী রাজুকে বাড়ির লোকজন গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত রাজু নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, রাতে আমরা একসাথে ঘুমিয়েছিলাম। ভোররাতে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ফাতেমা আর ঘরে আসেনি। কে বা কারা তাকে মেরেছে, আমি জানি না।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কায়সার হামিদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর হয়। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর