সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

কালিয়াকৈরে আত্মগোপনে আট ইউপি চেয়ারম্যান

আনিসুর রহমান, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)

প্রকাশিত:
২১ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:২৭

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে আটজন জন ইউপি সদস্য আত্নগোপন এবং এক জন্য ইউপি সদস্য উপস্থিত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হত্যা ও হত্যার চেষ্টায় কালিয়াকৈরে চারটি মামলা হলে গা-ঢাকা দিয়ে কৌশলে দাপ্তরিক কাজ চালাতেন ইউপি চেয়ারম্যানরা।

এসব মামলায় ধরপাকড় শুরু হলে চেয়ারম্যানরা পুরোপুরি আত্মগোপনে চলে যায়। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে এসব ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকসেবার কার্যক্রম। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জনগণ।

উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে আটজন ইউপি চেয়ারম্যান এসব মামলার আসামি। এসব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা আওয়ামী লীগ সমর্থিত। তারা হলেন ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম সরকার, চাপাইর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান সেতু, বোয়ালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবজাল হোসেন, মধ্যপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, মৌচাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন, আটাবহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন শাকিল মোল্লা, ঢালজোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইছামুদ্দিন ও শ্রীফলতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিবুর রহমান।

হত্যা ও হত্যার চেষ্টায় আসামি হওয়ার পর কিছুটা গা-ঢাকা দিয়ে কৌশলে দাপ্তরিক কাজ চালাতেন ইউপি চেয়ারম্যানরা। সতর্কভাবে চলাফেরাসহ অনেক সময় গোপন স্থান থেকে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতেন। এসব মামলায় কয়েকজন আসামি গ্রেপ্তারের পর লাপাত্তা আট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। এবং এদের সাথে কয়েকটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বাররাও এসব মামলার আসামি থাকায় তারা নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদে আসে না।

কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নে সেবা নিতে আসা মো:বোরহান উদ্দিনের সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি বলেন আমরা যখন ইউনিয়নে আসি বিভিন্ন কাজে তখন এসে দেখি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং অনেক মেম্বার অনুপস্থিত থাকে এই অনুপস্থিত থাকার কারণে আমাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আমাদের বিভিন্ন কাগজের স্বাক্ষর করার জন্য চেয়ারম্যান মেম্বারদের ফোন করে পাওয়া যাচ্ছে না আমরা সাধারণ জনগণ অনেক ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ বলেন, 'সংকট নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা অনুপস্থিত থাকেন, সেসব চেয়ারম্যানদের তথ্য চেয়েছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। আমরা তদন্ত করে অনুপস্থিত থাকা চেয়ারম্যানদের তালিকা করে জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছি। তবে তাদের বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিবে, সেটাই চূড়ান্ত।'


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর