সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের দুই যুগ আজ

খেলা ডেস্ক

প্রকাশিত:
১০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:২১

২০০০ সালের ১০ নভেম্বর। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সাজানো হয়েছিলো নানান রঙের সাজে। টস করতে নামবেন দুই দলের অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয় এবং সৌরভ গাঙ্গুলি। সেন্টার উইকেটে গেলেন, কয়েন নিক্ষেপ করলেন স্বাগতিক অধিনায়ক দুর্জয়। সে সঙ্গে তৈরি হয়ে গেলো নতুন এক ইতিহাস।

ক্রিকেটের সবচেয়ে কুলীন শ্রেণি টেস্টের আঙ্গিনায় জন্ম নিলো এক শিশু। ১০ম দেশ হিসেবে টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তখন থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে সেই শিশুটি আজ ২৪ বছরের টগবগে যুবক। টেস্ট আঙ্গিনায় পথচলা শুরুর পর ২৪টি বছর পার করে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টস করতে নামার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ সৃষ্টি হয়েছিলো আজ থেকে ঠিক ২৪ বছর আগে।

নিজেদের ইতিহাসে উদ্বোধনী টেস্টের টস জয় থেকে শুরু করে অনেক কিছুই ছিল বাংলাদেশের পক্ষে। প্রথম তিনদিন তো ভারতের সঙ্গে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছিলো টাইগাররা। চতুর্থদিন এসে রণে ভঙ্গ দিতে হয়। ফলে হারতে হয়েছিলো বাংলাদেশকে।

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছিলো ৪০০ রান। সাংগঠনিক তৎপরতায় টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছিলো বাংলাদেশ- এই অপবাদ ঘুচিয়ে দেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ১৪৫ রান করেন তিনি। টেস্ট ইতিহাসে তখনও পর্যন্ত দেশের অভিষেকে নিজের অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরির ঘটনা তখন মাত্র তৃতীয়টি এটি।

ভারত ৪২৯ রান করেছিলো। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে খেই হারায় বাংলাদেশ। ৯১ রানে অলআউট হয়। ভারতের প্রয়োজন হয় ৬৩ রানের। ১ উইকেট হারিয়ে সে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ওই টেস্টেই রেকর্ড গড়েছিলেন অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়। নিজের এবং দেশের অভিষেক টেস্টে ৬ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখান তিনি।

টেস্টের আঙ্গিনায় এভাবেই পথচলা শুরু। নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গত ২৪টি বছর পার করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। এর মধ্যে ১৪৮টি টেস্ট খেলেছে টাইগাররা। যার মধ্যে হারতে হয়েছে ১০৮ ম্যাচ। জিতেছে ২১ ম্যাচ এবং ড্র করেছে ১৯টি। এক হিসেবে দেখা গেছে, এক জয়ের বিপরীতে ৫ ম্যাচের চেয়েও বেশি হার রয়েছে টাইগারদের।

টেস্ট ক্রিকেটের প্রায় প্রতিষ্ঠিত সব দেশকেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুধু ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকাকে এখনও হারাতে পারেনি। বিদেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের কৃকিত্বও দেখাচ্ছে টাইগাররা। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ২ বছর আগে টেস্ট জিতেছিলো বাংলাদেশ। আর এবার পাকিস্তানের মাটিতে তাদেরকেই হোয়াইটওয়াশ করে এসেছে। নিজেদের শততম টেস্টে হারিয়েছিলো শ্রীলঙ্কাকে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর