সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

মৎস্য আহরণ বন্ধের সময় নির্ধারণে দ্রুত কমিটি গঠনের নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:০৫

মৎস্য আহরণ বন্ধের সময় পুনর্নির্ধারণে মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, নৌবাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের দ্রুত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

তিনি বলেন, প্রজননের সঠিক সময় ও মৎস্য আহরণ বন্ধের সময় বৈজ্ঞানিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটকে আরও গবেষণা করে গবেষণার ফল জনগণকে জানানো দরকার।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণ বন্ধের সময় পুনর্নির্ধারণবিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের বড় সমস্যা হলো মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে ভারতীয় জেলেরা অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরছেন। অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য ভারত সরকারকে এ বিষয়ে জানাতে হবে। ইলিশ আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ, আল্লাহর দান। ইলিশ ডিম ছাড়ার পর বড় হওয়ার জন্য সুযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের সবার দায়িত্ব রয়েছে।

তিনি বলেন, মৎস্যজীবীরা আমাদের আমিষের যোগান দিয়ে যাচ্ছেন। একদিকে জেলেদের সুবিধা দেওয়া, অন্যদিকে মাছ রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। বাজারে মাছের সরবরাহ বাড়লেও এমনকি পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়া গেলেও দাম কমছে না। এক্ষেত্রে ইলিশ আহরণ, সরবরাহ, বিপণন, সংরক্ষণ প্রভৃতি জড়িত। আমরা জনগণকে খাওয়াতে পারছি কি না, সেখানে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণ বন্ধে যদি জাল নিয়ন্ত্রণ না করি, তবে কোনো পদক্ষেপই কাজ হবে না। জাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। মুন্সীগঞ্জে বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে অভিযান ও জরিমানা অব্যাহত রয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করব, তারা যেন জাল উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত কারখানাগুলোতে কোনো লাইসেন্স না দেয়। সমুদ্রে ট্রলার দিয়ে যারা মাছ ধরেন, তাদের আরও সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

বক্তারা বলেন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও নির্বিঘ্ন প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট সময় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত পদ্ধতি। মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন ও জাটকা সংরক্ষণের মতো সমুদ্রে মৎস্য প্রজাতির সফল প্রজনন ও প্রজননোত্তর সংরক্ষণ করা হলে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের আহরণ উত্তরোত্তর বাড়বে বলে গবেষকরা সুপারিশ করছেন।

মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অনুরাধা ভদ্র, বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানী, বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার উপস্থিত ছিলেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর