সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ কিলোমিটার সড়ক

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
১২ আগষ্ট ২০২৩, ১৩:৪৩

টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় নগরের ৪১ ওয়ার্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫০ কিলোমিটার সড়ক। এ ছাড়া ২ দশমিক ১৯ কিলোমিটার নালা ও প্রায় ২ কিলোমিটার ফুটপাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এছাড়া অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ৩০ হাজার ৮১০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।

নগরের মুরাদপুর থেকে অক্সিজেন রোড, বায়েজিদ বোস্তামী রোড, সুন্নিয়া মাদ্রাসা রোড, খতিবের হাট, জাকির হোসেন রোড, ডিসি রোড, লয়েল রোড, মাইজপাড়া, কে বি আমান আলী রোড, শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ রোড, কে সি দে রোড, জামালখান, সার্সন রোড, খাজা রোড, ওমর আলী মাতব্বর রোড সহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কে কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে খানা-খন্দ।

এসব খানা-খন্দ কোথাও কোথাও গর্তে রূপ নিয়েছে। বৃষ্টির পানিতে গর্তগুলো ভরে গেছে, রয়েছে কাদাও। অলি-গলির অনেক রাস্তাও ভেঙ্গেছে। নানা দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যানবাহন চলছে এসব রাস্তায়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সড়ক সংস্কারের জন্য ৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে এই টাকা বরাদ্দ চাওয়া হবে। এর আগে বৃষ্টি চলে গেলে চসিকের ব্যবস্থাপনায় সড়ক সংস্কার করা হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, ৩-১০ আগস্ট পর্যন্ত বৃষ্টি ও জোয়ারের কারণে আউশ ধান, আমনের বীজতলা, আমনের আবাদ ও শরৎকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রাথমিক হিসাবে আউশ ধানের ৬ হাজার ১৩ হেক্টর জমির ধান, তিন হাজার ৭৯৪ হেক্টর জমির আমনের বীজতলা, ১৪ হাজার ৪৯৬ হেক্টর জমির রোপা আমনের ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে শরৎকালীন ৫ হাজার ৩৮৭ হেক্টর সবজি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায় জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যার পানি এখনও পুরোপুরি নামেনি। প্রাথমিকভাবে ৩০ হাজার ৮১০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, বন্যায় চট্টগ্রাম জেলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এই ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি হবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর