সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ফরিদা আখতার

ভারতের প্রোপাগান্ডাকে বাংলাদেশ ভয় পায় না

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:২৭

বাংলাদেশকে নিয়ে অনবরত মিথ্যাচার ও ভয় দেখাচ্ছে ভারত। তাদের এই প্রোপাগান্ডাকে বাংলাদেশ ভয় পায় না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘গণ-আকাঙ্ক্ষা, গণ-অভ্যুত্থান প্রত্যাশা, প্রাপ্তি এবং বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, ভারত আমাদের ভয় দেখাচ্ছে। আমাদের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে বলে ভয় দেখাচ্ছে। ভারত জুলাই আগস্ট ঠেকাতে পেরেছে? শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে রাখতে পেরেছে? তাহলে তারা আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। তবে তারা (ভারত) একটা ভালো করেছে, তারা সকল রাজনৈতিক ঐক্য তৈরি করেছে, এটা ধরে রাখতে হবে। সবাইকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতেই হবে।

ধর্মীয় পরিচয়ে বিভাজন কেন? মানুষ পরিচয় তৈরি করতে হবে। আমাদের মানুষের সম্প্রীতি তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা চলে গেছেন, তার দলের নেতাকর্মীরাও গোপনে রয়েছেন। তবে তাদের দোসররা কিন্তু রয়ে গেছে। তারা নানাভাবে দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

সংবিধান সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের চাপ আছে। তারা নির্বাচন চান। সেটা দিতেই হবে; কিন্তু যে রক্তের ওপরে দাঁড়িয়ে সংস্কার শুরু করেছি, সেটা তো আমাদের করতেই হবে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় না, আমরা দায়িত্ব নিয়েছি; যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে, তারা যেন ক্ষমতায় না বসে, এটাই হলো সংস্কার। আমরা ক্ষমতায় না দায়িত্বে দেখতে চাই। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এই বার্তা পৌঁছাতে হবে।

কৃষি একটি অবহেলিত খাত বলে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, সব ফসলের হিসাব পাবেন, কিন্তু কৃষকের হিসাব নেই। ডিমের দাম বেড়ে গেলে আমদানির কথা বলা হয়; কিন্তু এতে কৃষকের ক্ষতি হবে। চালের দাম বাড়লে আমদানির কথা বলা হয়, আমরা ভাবি কি করে আমদানি না করে পারা যায়। সে পরিকল্পনা করা। মাছের ক্ষেত্রেও একই। গ্রামে গঞ্জের জেলে-মৎস্যজীবীদের তালিকার কথাও বলেছেন অনেকে।

ফরিদা আখতার বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় জমি ইজারা দেয়, মাছ চাষের অনুমতি দেয় মৎস্য মন্ত্রণালয়। আমরা কত দিন থাকি জানি না, তবে যতদিন থাকি ততদিন চেষ্টা করব নতুন কিছু করার। ডিম যখন ঢাকায় আসে, তখন কারওয়ানবাজারে আসে সাত হাত পরিবর্তন হয়ে। সেখানে এক টাকা করে বাড়লেও কত টাকা বাড়ে দেখুন। এই চাঁদাবাজি এক মন্ত্রণালয় থেকে বন্ধ করা সম্ভব না।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর