সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

২১ বছরে প্রার্থীসহ যেসব প্রস্তাবনা দিতে যাচ্ছে সংবিধান সংস্কার কমিশন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭:০২

১৯৭২ সালের সংবিধানে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে ১৭ বার পরিবর্তন করে একদলীয় ব্যবস্থা কিংবা সমরিক শাসনকে বৈধতা দিতে ব্যবহার করা হয়েছে সংবিধানকে। এসব ঠেকাতে নানা প্রস্তাবনা দিতে যাচ্ছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। জানুয়ারির মাঝামাঝিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে এসব প্রস্তাবনা জমা দেবে ড. আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন কমিশন।

সংবিধান বিষয়ে ৫৪ হাজার মতামত ও ১২০টি দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করে যেসব সুপারিশ করবে সেগুলো হচ্ছে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, টানা দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না, প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান এক ব্যক্তি হবেন না, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা, ডেপুটি স্পিকার বিরোধী দল থেকে নেওয়ার বিধান, স্পিকারের একক ক্ষমতা নয় ও ২১ বছরেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া উল্লেখযোগ্য।

এ বিষয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘বিভিন্ন পক্ষের প্রস্তাবনা এবং ১২০টি দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করে প্রস্তুত করা হয়েছে সংস্কার প্রস্তাবনা। পুনর্লিখন না হলেও কার্যকর সংস্কারের মাধ্যমে জন-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। জবাবদিহির ব্যবস্থা করতে হবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে অংশীজনদের একটা বড় অংশ কথা বলেছেন। তাদের আকাঙ্ক্ষা ও চিন্তাগুলোকে সমন্বয় করার চেষ্টা করছি। সেই আলোকেই দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থার প্রবর্তন, দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়াসহ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনার প্রস্তাবনা আনা হচ্ছে।’

ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘অনেক ধরনের মতের প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের একটা ভূমিকা থাকে। তাই এটাকে একটা ইতিবাচক হিসেবে আমরা বিবেচনা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর জায়গায় একটা জবাবদিহি তৈরি করতে হবে।’

সংস্কার কমিশন প্রধান বলেন, ‘সংসদ সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান বয়স ২৫ আছে। সেটি কমিয়ে ২১ বিবেচনা করেছি। সংবিধান ১৯৭২ সাল থেকে যে ১৭টি সংশোধন হয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় রেখেছি যে এগুলোর শেষ পর্যন্ত কী লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।’

এ বিষয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞ আহসানুল করিম বলেন, ‘এসব সংস্কার প্রস্তাবনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও তা কার্যকর হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। এসব বাস্তবায়নে বড় ধরনের রাজনৈতিক ঐকের প্রয়োজন। দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে প্রতিটি দলকে এমনভাবে একমত হতে হবে, যাতে সংস্কারের বিষয়ে পরবর্তী বাংলাদেশে যে সরকারই থাকুক না কেন, তাদের যেন একটা দায়বদ্ধতা থাকে।’

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর