সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

প্রচণ্ড শীতে বিপন্ন নীলফামারীর মানুষের জনজীবন

মোঃ নুরুজ্জামান সরকার রাসেল, নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
২১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬:০০

সারা দেশের মতো ঠাণ্ডার প্রভাব বেশি পরেছে উত্তরের জনপদ নীলফামারীতে। দিনের বেলায় কুয়াশায় ঢাকা থাকে, বিকেল হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় হিমেল হাওয়ার ফলে বদলে যায় দৃশ্যপট। নীলফামারী জুড়ে এবার শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। সকালে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।

শীতের সময় সকাল ও বিকেলে ঘন কুয়াশার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হিমেল হাওয়া। ঘন কুয়াশার কারণে চলাচলে ঘটছে বিঘ্নতা। সন্ধ্যার পরে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে দেখা মিলছে শীতের পোশাক জমজমাট ক্রয়-বিক্রয়।

কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ শীতকালীন গরম পোশাকের দোকান। শীতের আগমনে শীতকালীন পিঠাপুলির দোকানে আগুন তাপার ভিড় জমাচ্ছে সাধারণ মানুষ। কিছুটা উষ্ণতার আসায় চায়ের দোকানে ভিড় করছে মধ্য বয়স্কের মানুষরা। প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় শীতের পোশাকের আকুতি জানান কয়েকজন বয়োবৃদ্ধারা।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বয়স্ক ব্যক্তিদের সকালে খড় দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের দৃশ্য ছিল চোখে পড়ার মতো। একসাথে বসে গল্প আড্ডায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে অনেকে। চাঁদর মুড়ি দিয়ে কাঁপতে কাঁপতে মজিবর বলেন, 'বাবারে যে এনা চলাচল করতে পাচ্ছনু শীত আসাতে তাও বন্ধ হয়ে গেছে। শীতের কারণে কোথাও যাওয়ার পাচ্ছোনা। সকালে আর বিকালে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করো। রাইতোত অনেকগুলো ক্যাথা গায়ে দেও তারপরও কেন জানি হাঁটু কাঁপা-কাঁপি করে।'

চায়ের চুমুক দিতে দিতে বাপ্পী বলেন, মামুরে গ্রামে যে ঠাণ্ডা। ঢাকায় থাকাকালীন এত ঠাণ্ডা পাই নাই। রাতে এখন যে শীত, তাতে মনে হচ্ছে এবার শীতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। শীতার্ত মানুষের আরও জানায় অনেকেই শীত বস্ত্র বিতরণ করলেও তা শীতার্ত মানুয়ের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর