সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

অল্প বয়সেই চুল পাকছে? জেনে নিন সমাধান

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:০৮

বর্তমান সময়ে অনেকেই অল্প বয়সেই চুল পাকার সমস্যায় ভুগছেন। এটি শুধুমাত্র বয়সের কারণেই ঘটে না, বরং খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা এবং পরিবেশগত কারণও এটির জন্য দায়ী হতে পারে। তবে কিছু কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করলে এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

চুল পাকার কারণ:

মেলানিন উৎপাদন কমে যাওয়া: মেলানোসাইট হলো এক ধরনের কোষ, যা চুলের গোড়ায় মেলানিন উৎপন্ন করে এবং চুলের স্বাভাবিক রং ধরে রাখে। এই কোষ যদি নষ্ট হয়ে যায় বা মেলানিন উৎপাদন কমে যায়, তবে চুল ধূসর বা সাদা হয়ে যেতে পারে।

জিনগত প্রভাব: অনেক সময় জিনগত প্রভাবে অল্প বয়সেই চুল পেকে যেতে পারে।

অপুষ্টি: ভিটামিন বি১২, আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টির অভাব চুলের রঙ হারানোর অন্যতম কারণ।

মানসিক চাপ: অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ চুল পাকার অন্যতম কারণ হতে পারে।

খাদ্যাভ্যাস: প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড এবং পুষ্টিহীন খাবার চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

অতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার: চুলের ওপর অতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার চুলের স্বাভাবিক রঙ নষ্ট করতে পারে।

এছাড়াও লিভারের অসুখ, ধূমপান ও মদ্যপানের কারণেও চুল পেকে যেতে পারে।

চুল পাকার সমাধান:

লুটিওলিন সমৃদ্ধ ফল ও সবজি গ্রহণ: লুটিওলিন এক বিশেষ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা চুলের রং ধরে রাখার চাবিকাঠি। বিজ্ঞানীরা পরামর্শ দিচ্ছেন, যদি দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় লুটিওলিন সমৃদ্ধ ফল ও সবজি রাখা যায়, তাহলে শুধু চুল পাকার সমস্যা কমবে না, বরং শরীরও সুস্থ থাকবে। লুটিওলিন পাওয়া যায় গাজর, ব্রকলি, লেটুস, পালংশাক, বিট, বাঁধাকপি, ফুলকপি, আঙুর, আপেল, চেরি, পেয়ারা, স্ট্রবেরি, পিচ প্রভৃতি ফল ও সবজিতে। লুটিওলিন মেলানোসাইট কোষের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

এছাড়াও লুটিওলিন প্রদাহ হ্রাস করে, ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

সঠিক পুষ্টি গ্রহণ: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি১২, আয়রন ও অন্যান্য খনিজ উপাদান নিশ্চিত করুন।

প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার: নারিকেল তেল, আমলকি তেল ও মেথি তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পাকা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

স্ট্রেস কমানো: যোগব্যায়াম, মেডিটেশন ও পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, যা চুল পাকার হারও কমায়।

কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার কমানো: অতিরিক্ত হেয়ার কালার বা কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার কমিয়ে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুন।

ঘরোয়া প্রতিকার: আমলকি, মেথি বীজ ও কারি পাতার পেস্ট তৈরি করে চুলে লাগালে প্রাকৃতিকভাবে চুল পাকার সমস্যা দূর করা সম্ভব।

অল্প বয়সে চুল পাকা অনেকের জন্যই দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক জীবনযাত্রা ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। নিয়মিত যত্ন নিলে আপনার চুলও দীর্ঘদিন কালো ও সুন্দর থাকবে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর