সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহত বেড়ে ৩৯

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:২২

আফগানিস্তানে ভারী বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় নিহত বেড়ে ৩৯ জনে পৌঁছেছে। দেশটির তিনটি প্রদেশে এ প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলীয় ফারাহ প্রদেশেই বন্যায় প্রাণ গেছে ২১ জনের।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং সংবাদমাধ্যম গালফ টুডে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফগানিস্তানের তিনটি প্রদেশে সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা আরও ১০ জনে বেড়ে ৩৯ জনে পৌঁছেছে বলে বুধবার জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা।

এর মধ্যে গত মঙ্গলবার পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ফারাহতে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয় এবং এতে ২১ জন প্রাণ হারান। এ ছাড়া শিলাবৃষ্টিতে বাড়ি ধসে পড়ার পর আরও তিনজন মারা যান। 

নাসরুল্লাহ নামে ৫০ বছর বয়সী এক কৃষক বলেন, ভয়াবহ এই বন্যায় আমার সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। আমার খামার ও সমস্ত জমি প্লাবিত হয়ে গেছে।

মোহাম্মদ ইব্রাহিম নামে আরেক কৃষক বলেন, আমার ষাট বছরের জীবনে আমি এমন বাতাস, বৃষ্টি আর ঝড় দেখিনি। ঝড়টি এত শক্তিশালী ছিল যে বেড়াগুলো ৩০-৩৫ মিটার দূরে গিয়ে পড়েছে এবং কাঠের তৈরি সমস্ত কিছু উড়িয়ে দিয়েছে।

এদিকে হেলমান্দ প্রদেশে বজ্রপাতে এক শিশুসহ ছয়জন এবং কান্দাহার প্রদেশে নয়জন নিহত হয়েছেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, মারাত্মক বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যাকবলিত ফারাহসহ বেশ কয়েকটি প্রদেশে দীর্ঘমেয়াদী খরা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র আবদুল্লাহ জান সায়েক বলেন, বেশিরভাগ প্রদেশে অবিরাম বৃষ্টি ও তুষারপাত হচ্ছে, যা খরা কমিয়ে দিয়েছে। এটি পানির পরিকাঠামোকে সমৃদ্ধ করবে। কৃষি আরও উন্নত হবে এবং পশুসম্পদের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর