সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে বাংলাদেশিদের প্রবেশ বেড়েছে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৫ মার্চ ২০২৫, ১৬:০১

চলতি বছরের প্রথম দুই মাস- জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ২৫ শতাংশ কমে প্রায় ২৫ হাজারে নেমেছে। ইউরোপে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী প্রবেশের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয় মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুট।

রুটটিতে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী প্রবেশ করে বাংলাদেশিরা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাজের বৈধতা দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের চুক্তি হয় দালালদের সঙ্গে। তারপর এসব অভিবাসপ্রত্যাশীদের ঠেলে দেওয়া হয় বিপজ্জনক পথে। এসব তথ্য দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সীমান্ত বিষয়ক এজেন্সি ফ্রোনটেক্স।

এতে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি অভিবাসী ইউরোপে যান মালি, সেনেগাল ও গিনি থেকে। জাতিগত দিক থেকে সবচেয়ে বেশি অভিবাসীর দিক দিয়ে আছে যথাক্রমে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও মালি।

গত দুই মাসে সবচেয়ে বেশি অবৈধ অভিবাসী প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমাঞ্চলীয় বলকানদের মধ্যে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর শতকরা ৬৪ ভাগ কম অভিবাসী প্রবেশের চেষ্টা করেছেন এ অঞ্চল থেকে। মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুটে অভিবাসী প্রবেশ বেড়েছে শতকরা ৪৮ ভাগ।

তবে ২০২৩ সালের তুলনায় এই সংখ্যা এখন অনেক কম। বছরটিতে এ পথে ইউরোপে গিয়েছেন ১২ হাজার মানুষ। অন্যদিকে এ বছর সে সংখ্যা ৬৮৬৩। এসব সত্ত্বেও এ রুটই এখন ইউরোপে অবৈধভাবে প্রবেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সক্রিয় রুট। এই রুট পরিচালনা করে লিবিয়ার পাচারকারীরা।

এই রুটে ইউরোপ যেতে হলে প্রতিজন অভিবাসীকে ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার ইউরো দিতে হয়। পশ্চিম আফ্রিকান রুটে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী গিয়েছে। তাদের সংখ্যা ৭১৮২। তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তা শতকরা ৪০ ভাগ কম। এই রুটে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী যান মালি, সেনেগাল ও গিনি থেকে। তৃতীয় করিডোর হিসেবে ব্যবহৃত হয় ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চল। সেখানে রেকর্ড করা হয়েছে ৬৫০০ অভিবাসী।

আগের বছরের তুলনায় এই রুটে অভিবাসীর সংখ্যা কমেছে শতকরা ৩৫ ভাগ। শীতকালের কারণে এই রুটে ধীরে ধীরে কমেছে অভিবাসীর সংখ্যা। ফেব্রুয়ারিতে সেখানে নিবন্ধিত করা হয়েছে ২৭৫০ অভিবাসীকে। এই পথে বেশি অবৈধ অভিবাসী যান আফগানিস্তান, মিশর ও সুদান থেকে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ধারণা, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে সমুদ্রে ২৪৮ জন মারা গেছেন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩০০ জন।

এদিকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা করা অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংখ্যাও গত বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ কমেছে।

ফ্রন্টেক্স ইউরোপের সীমান্ত রক্ষায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহযোগিতা আরও জোরদার করেছে। ইইউ সীমান্ত ২ হাজার ৯০০ কর্মকর্তা মোতায়েন করেছে ফ্রান্টেক্স।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর