সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

গুম তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়ল ৩০ জুন পর্যন্ত

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১৮ মার্চ ২০২৫, ১১:১৯

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সংঘঠিত ‘গুমের’ ঘটনা তদন্তে যে কমিশন হয়েছে, সেটির মেয়াদ দেড় মাস বাড়িয়ে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সময় বাড়ানোর এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের বাড়তি মেয়াদ ১৫ মার্চ থেকে ধরা হবে।

এর ফলে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কমিশন ৩০ জুন পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় পাবে। পাঁচ সদস্যের এ কমিটির ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ২৭ অগাস্ট গঠিত এ কমিশন কাজ শুরুর পর থেকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। গত ৫ নভেম্বর কমিশন সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছিল, কমিশনে গুমের ১ হাজার ৬০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে তারা ৩৮৩টি অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক যাচাই করেছেন। এসব অভিযোগের মধ্যে র্যাবের বিরুদ্ধেই ছিল সবচেয়ে বেশি ১৭২টি। অভিযোগের বিষয়ে কমিশন ইতোমধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে।

গুম কমিশন গঠনের বিষয়ে প্রথমে গত ২৭ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর নতুন প্রজ্ঞাপনে প্রতিবেদন জমা দিতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

নতুন প্রজ্ঞাপনে কমিশনের উদ্দেশ্য ও দায়িত্বে পরিবর্তন আনে সরকার। তবে পাঁচ সদস্যের কমিশন রাখা হয় আগের মতই।

নতুন করে মেয়াদ বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিশন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা এবং অনুরূপ যে কোনো বাহিনী বা সংস্থার কোনো সদস্য বা সরকারের মদদে হওয়া গুমের তদন্ত করবে।

এছাড়া এসব বাহিনীর সহায়তায় বা সম্মতিতে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তি-সমষ্টির মাধ্যমে 'আয়নাঘর' বা যেকোনো জ্ঞাত বা অজ্ঞাত স্থানে বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, বলপূর্বক গুমের ঘটনার সহিত জড়িত ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিতকরা ও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করবে। পাশাপাশি বলপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনা প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় আইন সংস্কারের সুপারিশ করবে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর