সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

জাতিসংঘ কর্মকর্তা

গাজায় প্রতিদিন ১০০ শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৩৬

গাজায় ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভেঙে ১৮ মার্চ থেকে পুনরায় হামলা শুরু করার পর প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)–এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তিনি ইউনিসেফের তথ্য উদ্ধৃত করে বলেন, ‘এই পরিস্থিতি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। শিশুদের হত্যার পক্ষে কোনো যুক্তিই গ্রহণযোগ্য নয়।’

লাজারিনি বলেন, ‘এই যুদ্ধ শিশুদের জন্য নয়, অথচ তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিদিন তাদের জীবন থেমে যাচ্ছে। গাজার শিশুদের রক্ষায় এখনই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’

তিনি আরও জানান, প্রায় দেড় বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার শিশু নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সময় কিছু শিশু বেঁচে থাকার ও শৈশব উপভোগের সুযোগ পেলেও নতুন করে হামলা শুরুর পর সেই আশাটুকুও শেষ হয়ে গেছে বলে জানান লাজারিনি। তার ভাষায়, ‘গাজা এখন শিশুদের বসবাসের জন্য একেবারেই অনুপযুক্ত হয়ে উঠেছে। এটি আমাদের মানবতার ওপর গভীর কলঙ্ক।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের কোথাও শিশুদের হত্যা মেনে নেওয়া যায় না। এখনই একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে।’

এদিকে, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে (ইউএনএসসি) দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান।

জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আসিম ইফতেখার আহমদ বলেন, ‘ইসরায়েলের এই হামলা জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং হামাসের সঙ্গে হওয়া যুদ্ধবিরতির চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’

আলজেরিয়ার আহ্বানে এবং পাকিস্তান, চীন, সোমালিয়া ও রাশিয়ার সমর্থনে ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রদূত আসিম বলেন, ‘ফিলিস্তিনে যা ঘটছে, তা মানবতার চরম অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আর নীরব থাকার সুযোগ নেই।’


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর