সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সব মুসলিমের জন্য ‘বিরল’ ফতোয়া জারি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৫৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ১৭ মাস ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চানানোর প্রেক্ষিতে সব মুসলিমের জন্য ‘বিরল’ ফতোয়া জারি আন্তর্জাতিক মুসলিম স্কলার্স ইউনিয়নের (আইইউএমএস) মহাসচিব আলী আল-কারদাঘিসহ খ্যাতিমান বেশ কয়েকজন ইসলামিক ব্যক্তিত্ব। 

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আই এক প্রতিবেদনে জানায়, আলী আল-কারদাঘি শুক্রবার মুসলিমদের উদ্দেশ্যে জারি করা ফতোয়ায় বলেন, গাজায় গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে সামরিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করুন। 

আলী আল-কারদাঘি আরও বলেন, গাজা ধ্বংস হওয়ার সময়ও আরব ও ইসলামিক বিশ্বের সরকারের ব্যর্থতা, ইসলামিক আইন অনুযায়ী, আমাদের গাজার নির্যাতিত ভাইদের প্রতি বড় অন্যায়।  

ফতোয়ায় তিনি আরও বলেন, গাজার মুসলমানদের নির্মূলে শত্রুরা (ইসরায়েল) যা কারছে সেটিকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যাবে না। ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা যাবে না। সুয়েজ খাল, বাব আল-মান্দাব, হরমুজ প্রণালী, অথবা অন্য কোনো স্থল, সমুদ্র বা আকাশপথ দিয়ে তাদের অস্ত্র পরিবহণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আকাশ, স্থল এবং সমুদ্র পথে অবরোধ আরোপের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। 

মিডেল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, আলী আল-কারদাঘি মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে সম্মানিত স্কলারদের একজন। বিশ্বব্যাপী থাকা ১৭০ কোটি সুন্নি মুসলিমের মধ্যে তার ১৫ ধারার এ ফতোয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ফতোয়াকে সমর্থন জানিয়েছেন আরও ১৪ জন ইসলামিক ব্যক্তিত্ব।

তারা বলেছেন, যেসব মুসলিম দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের ‘শান্তি চুক্তি’ আছে সেগুলো যেন পুনর্বিবেচনা বা পর্যালোচনা করা হয়। এরমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়ে যেন তিনি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মুসলিমদের ওপর হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে বাধ্য হন।

প্রসঙ্গত, ফতোয়া হলো একটি ইসলামিক (নন-বাইন্ডিং) নির্দেশনা। যেটি বড় আলেম বা ইসলামিক ব্যক্তিত্বরা জারি করে থাকেন। সাধারণত কোরআন অথবা সুন্নাহর ভিত্তিতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর