সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

আকাশপথেও ঝুঁকিমুক্ত নয় নেতানিয়াহু

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:৪৪

যুক্তরাষ্ট্রের মদতে নিজেকে সকল আইনের উর্ধ্বে মনে করছে ইসরাইল। তবে বিশ্ববাসীর মনের ক্ষোভ সম্পর্কে ঠিকই জানে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

ইসরাইলের এই প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে জলে বা স্থলে কোথাও নিরাপদ নন। আকাশপথেও যে তার জন্য বিপদের সম্ভাবনা আছে তাও এবার পরিষ্কার হলো।

আমেরিকা যাওয়ার পথে তাকে ঘুরতে হয়েছে ৪০০ কি.মি. বাড়তি পথ। ইসরাইলের এই প্রধানমন্ত্রীর শঙ্কা ছিল আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড বা নেদারল্যান্ডস এর মতো দেশগুলোর আকাশসীমায় প্রবেশ করলেই বিমান থেকে যেকোনো সময় গ্রেফতার করা হবে তাকে।

আইসিসির পরোয়ানায় যেকোনো সময় গ্রেফতারের ভয়ও আছে তার। আর এই গ্রেফতার এড়াতেই যুক্তরাষ্ট্রে যেতে নেতানিয়াহুকে ঘুরতে হয়েছে ৪০০ কি. মি. বাড়তি পথ।

প্রায় দুই বছর ধরে নেতানিয়াহুর নির্দেশে গাজায় নির্বিশেষে চলছে জাতিগত হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ। ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধের দায়ে এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই নভেম্বরে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক আদালত।

একই অপরাধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে ইসরাইলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়ফ গালান্তের বিরুদ্ধেও। তবে এই পরোয়ানাকে অগ্রাহ্য করে গত সপ্তাহে হাঙ্গেরি যান নেতানিয়াহু।

বুদাপেস্ট সফর শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠকের জন্য ওয়াশিংটন পাড়ি দিতে হয় এই নেতাকে। হাঙ্গেরির অভয়ে দেশটির সফর করলেও এমন অনেক রাষ্ট্র আছে যারা নেতানিয়াহুকে ধরতে মরিয়া।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন থাকা এসব দেশের তালিকায় রয়েছে আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড বা নেদারল্যান্ডস এর মতো দেশগুলো। হাঙ্গেরি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে এসব দেশ পাড়ি দিতে হতো নেতানিয়াহুকে।

তবে এসব দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করার পর নেতানিয়াহু কে জরুরি অবতরণ করানোর শঙ্কা দেখা দেয়। কারণ কোনো দেশই নেতানিয়াহুরকে নিশ্চিন্তে উড়ে যাওয়ার নিশ্চয়তা দেয় নি। এসব শঙ্কা থেকেই নেতানিয়াহু বাড়তি পথ দূরে অবশেষে পৌঁছান ওয়াশিংটনে।

ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলো বলছে, গ্রিস, ইতালি ও ফ্রান্স হয়ে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিতে হয় নেতানিয়াহুকে। কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে যেন এসব দেশে নেতানিয়াহুর বিমান অবতরণ করতে পারে সেই প্রস্তুতি নিয়েই যাত্রাপথ নির্ধারণ করা হয়। অসুস্থ অবস্থায় নেতানিয়াহুকে ভ্রমণ করতে হয় ১৩ ঘন্টা। বুশের মতো অপমানিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে বাতিল করা হয় পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনও।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর