সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব শক্ত প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:১৩

ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের ব্যাপারে এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্ত প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এ প্রমাণ হাজির করেছেন।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কে২-১৮বি নামের একটি গ্রহের বায়ুমণ্ডল নিয়ে গবেষণা করছিলেন ক্যামব্রিজের গবেষক দলটি। তারা ওই গ্রহে এমন অণুর লক্ষণ সনাক্ত করেছেন যা পৃথিবীতে কেবল সরল জীবের মাধ্যমে উৎপাদিত হয়।

মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে গ্রহের বায়ুমণ্ডলে জীবনের সাথে সম্পর্কিত দ্বিতীয় এবং আরও আশাব্যঞ্জক সময় রাসায়নিক সনাক্ত করেছেন তারা। অবশ্য গবেষক দল এবং স্বাধীন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলছেন যে, এই ফলাফলগুলো নিশ্চিত করার জন্য আরও তথ্যের প্রয়োজন।

গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক নিক্কু মধুসূধন জানিয়েছেন, তিনি শিগগিরই চূড়ান্ত প্রমাণ পাওয়ার আশা করছেন।

তিনি বলেছেন, “সম্ভবত প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে, সে ব্যাপারে এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ। আমি বাস্তবসম্মতভাবে বলতে পারি যে, আমরা এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এই সংকেতটি নিশ্চিত করতে পারব।”

কে২-১৮বি হচ্ছে পৃথিবীর আড়াই গুণ আকারের এবং আমাদের থেকে ৭০০ ট্রিলিয়ন মাইল বা ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।

নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এতটাই শক্তিশালী যে, এটি গ্রহের কক্ষপথে প্রদক্ষিণকারী ছোট লাল সূর্যের মধ্য দিয়ে আসা আলো থেকে গ্রহের বায়ুমণ্ডলের রাসায়নিক গঠন বিশ্লেষণ করতে পারে।

কেমব্রিজ গ্রুপটি আবিষ্কার করেছে, বায়ুমণ্ডলে জীবনের সাথে সম্পর্কিত ডাইমিথাইল সালফাইড ও ডাইমিথাইল ডাইসালফাইডের অণুর মধ্যে অন্তত একটির রাসায়নিক স্বাক্ষর রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। পৃথিবীতে এই গ্যাসগুলো সামুদ্রিক ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন এবং ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে উৎপাদিত হয়।

অধ্যাপক মধুসূদন জানান, একটি মাত্র পর্যবেক্ষণে দৃশ্যত এতো গ্যাস সনাক্ত করা হয়েছে দেখে তিনি অবাক হয়ে গেছেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর