সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংহতি ও সহযোগিতার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
  • র‌্যাব পুনর্গঠন করা হবে, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানার সাক্ষাৎ
  • গেজেট এলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
  • দেশের ইতিহাসে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে
  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন
  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
  • মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

প্রতিটি পরিবারে একজন গর্দভ চাই!

মো: তানজমিুল ইসলাম

প্রকাশিত:
৭ মে ২০২৫, ১৭:৩০

প্রায় প্রতি বছরই কাগজে-কলমে শিক্ষিতের হার বেড়েই চলেছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ডিগ্রী নিয়ে অহমবোধের কমতি নেই বৈকি! সভ্যতার এই মোক্ষম সময়ে সকলে প্রায়শই উন্নত জীবন মানে স্বামী সংসার নিয়ে একক পরিবারে থাকার নামান্তরই মনে করেন তথাকথিত শিক্ষিত স্ত্রীগণ। নিকট জন বিশেষ করে মা-বাবা-ভাই-বোনেরা কেমন আছেন? কি করছেন এ ব্যাপারে ভ্রুক্ষেপই থাকেনা প্রতিষ্ঠিত স্বামীদের! তবে কি সামাজিক প্রতিপত্তি পেতে কিংবা অবস্থান সূদৃঢ় করতেই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে শহুরে জীবন যাপন করা মানেই কি আধুনিক জীবন ও সুখী জীবন? স্বার্থের দ্বন্দ্বেই কি তবে রক্ত সম্পর্কীয় মানুষগুলোর চেয়ে পরমানুষেরাই বেশি আপন বনে যায় আজকাল! তথাকথিত শিক্ষিতগণ খুব সহজেই নিজেদের খোলস পাল্টিয়ে ফেলে নিমিষেই! বোকার মতো প্রিয় মা-বাবাকে দূরে সরিয়ে দিতে কুন্ঠাবোধ করেনা এতটুকু! শৈশবের স্মৃতিগুলো কী তবে জ্বলজ্বলে অতীত?

সময়ের প্রয়োজনে প্রতিযোগিতার এই কঠিন সময়ে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার সাথে সাথে অহেতুক ব্যস্ততা বেড়েছে। তাই তো চরম হতাশা নিয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একান্ত আলাপচারিতায়, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিই নিজেদের একান্নবর্তী পরিবারের স্মৃতিচারণ করেন। বিত্তশালী সত্ত্বেও চরম হতাশাগ্রস্ত দম্পতিগন তাহলে কিসের নেশায় ছুটে চলেন এখানে ওখানে? কেনইবা বৃদ্ধ মা-বাবাকে চরম অনিশ্চয়তায় ফেলে রেখে আসেন তাঁদের পৈত্রিক ভিটায়? অত্যাধুনিক অট্টালিকার সুসজ্জিত ফ্ল্যাটে আদুরে আহ্লাদে ছেলেমেয়েদের প্রিয় কুকুর বিড়ালের যেমন আদর আপ্যায়ন করা হয়, জন্মদাতা মা-বাবারা কি সেখানে এতটুকু নিরাপদ আশ্রয়  পেতে পারেনা? সেকেলে মা-বাবার জীবন যাপন কী তবে এতটাই বেমানান এই সভ্য সমাজে? মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা যত বাড়ছে, জীবন যাপন যেন ঠিক ততটাই বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে। ক্রমশ: সামাজিক অনুশাসনগুলোও পাল্টে যাচ্ছে!

বর্তমান সমাজে শৈশব থেকেই অসুস্থ এ সমাজের কঠিন প্রতিযাগিতায় টিকে থাকবার লড়াইয়ে কোমলমতি সন্তানদের বাধ্য করা হয়। অধিকাংশ শিশুদের কাছে দাদুবাড়ীর মানুষেরা যেন বড্ড অচেনা । গাঁয়ের কাদামাখা মানুষদের সাথে মিশলে শিশুরা পথভ্রষ্ট হতে পারে ভেবে এ যুগের শিক্ষিত মায়েরা কখনোই তাদের (গাঁয়ের আত্নীয়দের) আদর-স্নেহকে খুব বেশি প্রশ্রয় দিতে চান না, অনেক ক্ষেত্রে আদিখ্যেতা ভেবে এড়িয়েও চলেন। অবচেতন মনেই ডিজিটাল অভিভাবকেরা স্বপ্নের জাল বুনে এভাবে- নিশ্চয়ই তাদের সন্তানগণ একদিন অনেক বড় অফিসার হবে, আর সেদিনই সার্থক হবে তাঁদের জন্মদান! পক্ষান্তরে, বেজায় আশঙ্কায় আছি সেদিনের জন্য, যেদিন তারা অনেক বড় অফিসার হবে বটে! বড়-বড় অট্টালিকার মালিক হবে কিন্তু মা-বাবার জন্য এতটুকু আশ্রয়স্থল থাকবে তো? অবচেতন মনেই প্রশ্ন জাগে তাঁরা কর্মজীবনে অনেক বেশি প্রথিতযশা মানুষ হবার কারণে অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়বে না তো? শ্রদ্ধাভাজনেষু জন্মদাতা মা-বাবাগণের সেবা করার জন্য এতটুকু সময় থাকবে তো? নাকি নিশ্চিন্ত মনে তাঁদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেবে ?

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শেষে একটি মূল্যবান সার্টিফিকেট পেলেই বুঝি প্রকৃত শিক্ষিত হওয়া যায়? জীবনমূখী মানবিক শিক্ষার প্রয়োজন কি নেই এতটুকু? কে শেখাবে? কোথায় আছে ঐসব প্রতিষ্ঠান? অনেক বড় ডিগ্রী অর্জিত হলেই জনৈক শিক্ষার্থীর মনে দাঁনা বাঁধতে থাকে নতুন নতুন স্বপ্ন! স্বয়ং পরিবারের নিকটজন ও এ সমাজের উচ্চাভিলাষী মানুষেরা স্বপ্নে বিভোর হয়ে যায়। ক্যারিয়ার গঠনের প্রতিযোগিতায় কেউ রাতারাতি বড় অফিসার, কেউ স্বনামধন্য ব্যবসায়ী, কেউবা প্রথিতযশা রাজনৈতিক নেতা বনে যায়!অন্যদিকে  ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ছাত্রজীবনের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রটিও শেষমেশ ছিটকে পড়ে এ প্রতিযোগিতায়, কে রাখে তাঁর খবর!

খাওয়া নেই-নাওয়া নেই,মা-বাবার সাথে নিবিড়-নৈকট্যে কাটানোর মতো এতটুকু সময়ও যেন অবশিষ্ট নেই! শুধু ক্যারিয়ার, ক্যারিয়ার আর ক্যারিয়ার! সময়ের খেরোখাতায় সন্তানেরা শারীরিকভাবে বেড়ে উঠতে থাকে, সময়ান্তে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ডিগ্রীও অর্জন করে! কিন্তু কোথায় যেন অবচেতনভাবেই একটি বড় অভাব পরিলক্ষিত হতে থাকে ক্রমান্বয়ে। সন্তানেরা কি আদৌ পারিবারিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারছে? মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্ন-মধ্যবিত্তের বদনামটি হয়তো ঘুঁচে যাবে কোন এক সময়; সফল ক্যারিয়ারের বদৌলতে ব্যাংকের একাউন্টে হয়তো আট ডিজিট সমৃদ্ধ প্রচুর টাকাও জমে থাকবে! চারিদিকে ”সু-প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি” হিসেবে নাম-ডাক ছড়িয়ে পড়বে! তবু একটি অদৃশ্য অভাব যেন সেদিন কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে! ভালোবাসার অভাব! স্ত্রী-সন্তানদের কাছে না পাবার অভাব! মধ্যবয়সে অথবা শেষ বয়সে শৈশবের-কৈশোরের সেদিনগুলি নতুন করে ভীড় জমাবে অবচেতন মনে!  

শুধুমাত্র ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ হতে গিয়েই আমরা জীবনকে প্রকৃতভাবে উপভোগ করতে ভুলে যাই! গাঁয়ের মেঠোপথের আবেগঘন স্মৃতিকে খুব সহজেই গলা টিপে হত্যা করে ফেলি সহজেই। প্রিয়জনদের “না ফেরার দেশে চলে যাবার” খবর শুনেও এতটুকু আঁতকে উঠিনা আবেগী মানুষ হয়ে। ক্যারিয়ারে বিভোর হয়ে বৃদ্ধ মা-বাবার পাশে থাকার মতো কারো এতটুকু সময় থাকেনা! মাসে মাসে প্রচুর টাকা, ডলার কিংবা ইউরো পেলেই কি মা-বাবার অভাব ঘুঁচে যায়? টেলিফোনে কিংবা ভিডিও কলে কথা বলে কি প্রানের আকুতি মেটানো সম্ভব হয় পুরোপুরি? বরং ভালোবাসার তীব্রতা, কাছে না পাবার আকাঙ্খাটি কি দ্বিগুন বেড়ে যায় না তখন? কি আর করার? ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ মানুষদের মা-বাবা’দের কি-ই বা করার থাকে তখন? প্রকৃতির নিয়মে বয়সের ভাঁড়ে ন্যুজ হয়ে যায় মা-বাবা। এক সময় ভালোবাসা না পাওয়ার যন্ত্রণায় কাতর হয়ে অনেক অভিমান সাথে নিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমায় তাঁরা। সন্তানদের ক্যারিয়ারে যাতে ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়, এজন্য না বলা কষ্টগুলো আর কখনোই প্রকাশিত হয়না! কষ্টগুলোও যেন মেঘরাশির সাথে সাথে মিলিয়ে যায়!

এমতাবস্থায় যখন অসহায় মা-বাবার দেখভালের মানুষের বড্ড অভাব, তখন মা-বাবার গর্দভ খ্যাত সন্তানটি যিনি উচ্চ শিক্ষিত হতে পারেননি বলেই অজপাড়া গাঁয়ে পৈত্রিক ভিটেতেই মা-বাবার সাথে কাটিয়ে দেন সারাটি জীবন। সুপ্রতিষ্ঠিত সহদোরেরা যখন উন্নত বিশ্বে পাড়ি জমায় তখন বেকার-ভবঘুরে বাউন্ডুলে সন্তানটিই জীবনের শেষ বিন্দু অবধি একাই হার না মানা লড়াই চালাতে থাকে। শেষেমেশ ক্রান্তিবেলায় উক্ত সন্তানের কোলেই তাঁরা ঠাঁই নিতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করে। অজপাড়া গাঁয়ের খোলোমেলা পরিবেশে মা-বাবা ও অল্প শিক্ষিত অথবা গর্দভ খ্যাত সন্তানটির একত্রে বসবাস-দেখে আমাদের সকলের মনটা জুড়িয়ে যাবার কথা! ঠিক সেই মুহুর্তে তথাকথিত শিক্ষিতের তকমা গায়ে লাগিয়ে যারা দিনাতিপাত করছে, তাঁদের নিশ্চয়ই ঈর্ষান্বিত হবার কথা! গায়ের ধুলোমাখা পরিবেশে বেড়ে ওঠা শৈশবের কথা মনে পড়তেই তারা কী এতটুকু আবেগাপ্লুত হয়না? চোখ বন্ধ করেই আমরা দেখতে পাই: দিনরাত চব্বিশটি ঘন্টায় শয্যাশায়ী বৃদ্ধ মা-বাবার অবচেতন মনে নানা প্রশ্নে উদয় হয়! কেউ শোনে, কেউবা ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যায়! অনেক সময় জীবন সায়াহ্নে তারা যেন ধ্যানমগ্ন থাকেন! ফ্যালফ্যাল করে অপলক দৃষ্টিতে শুধুই চেয়ে থাকেন নির্মম পৃথিবীতে কতিপয় দম্পতি যুগল! কখনো আবার অনেক অভিমানী সেজে তারা নির্বাক থাকেন। যাদের প্রতি এই অভিমান তারা তো অনেক দূরে থাকেন? শহরের অট্টালিকায় চার দেয়ালে বন্দী সময় কাটান। নি:সঙ্গতা আর অবহেলায় জর্জরিত মা-বাবাগণ ক্রান্তিবেলায় এতটাই নিথর হয়ে যান, যেন কেউ ডাকলে কেবল চোখ মেলে জানান দেন তাঁদের নি:শ্বাসের অস্তিত্বের কথা! প্রথিতযশা অন্য সন্তানেরা যখন বেজায় ব্যস্ত; নিদেন পক্ষে তাঁদেরকে যখন বোঝা মনে করেন ঠিক তক্ষুনি প্রিয়জন বলতে কেবল প্রতিষ্ঠিত হতে না পারা বলদ সন্তানটিই পাশে বসে প্রহর গুণতে থাকেন। নির্মম পৃথিবীর শিক্ষিত সমাজে যেন এটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা! অল্প শিক্ষিত সন্তান বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে  প্রাণপনে লড়ে মা-বাবার কঠিন মুহুর্তগুলোতে! নির্মম এই পৃথিবীর মায়ার বন্ধন ছিন্ন করে একদিন নিশ্চয়ই আমরা প্রত্যেকে পাড়ি জমাবো সেই না ফেরার দেশে! সেদিন কি পরষ্পরের সাথে আমাদের দেখা-সাক্ষাৎ বা যোগাযোগ হবে না? সেদিন কি আমাদের এই নির্মমতার জন্য লজ্জা পাবো না?    

জীবন সায়াহ্নে প্রথিত-যশা ঐ ক্যারিয়ার সফল মানুষগুলো সূদুর অতীতে ফিরে যায় মুহুর্তেই! হৃদয়ের গভীর থেকে হু হু করে অষ্পষ্ট চাপা কান্না বেরিয়ে আসতে চায়! ক্যারিয়ার অভিলাষী এ সমাজে ঐ চাপা কান্না শোনার মানুষের বড্ড অভাব! শুধুমাত্র ক্যারিয়ারের পেছনে ছুটতে থাকা মানুষগুলো প্রকৃতপক্ষে বড্ড অভাবী! হতভাগ্যের চাদর গায়ে জড়িয়ে শেষ জীবনে তাঁরা পালিয়ে বেড়ায়! কখনো আবার বিবেকের আত্ন-দংশনে নীল হয়ে যায়। ভালোবাসা বঞ্চিত ঐ মানুষগুলোকে দেখে যতটাই সুখী-সম্পদশালী মনে হোক না কেন, প্রকৃতপক্ষে তাঁদের মতো দু:খী আর ভালোবাসার কাঙাল কে-ই বা হতে পারে? হে সুশীল সমাজের কর্ণধার, আমরা কী তবে মা-মাটি-দেশ’কে ভুলে ক্যারিয়ার গঠনেই নিজেকে ব্রত করবো? আজ তবে জেগে উঠুন সর্বাগ্রে ”মানুষ হবার জন্যে, মানুষ বানানোর মিছিলে।” কেবলমাত্র জীবনের জন্যই হোক ক্যারিয়ার,  ক্যারিয়ারের জন্য জীবনের বর্ণিল সৌন্দর‌্য হারিয়ে না যাক। ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ হবার আগে আমাদের উচিৎ, “ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা”। আর তাহলেই সমাজের সব জঞ্জাল ধূলিস্মাত করে আগামী প্রজন্ম আপনার, আমার, আমাদের এ সমাজটাকে সাজাবে নতুন করে, শান্তিময় করে.....!!!

আমরা যে ধর্মের মানুষ হই না কেন, মা-বাবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া যেমন ধর্মীয় নির্দেশনাই নয় বরং বিবেক তাড়িত প্রতিটি মানব সন্তানের জন্যে এটি অত্যাবশ্যক! দিনে দিনে আমরা শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারি! কোন একদিন শতকরা ১০০ ভাগ শিক্ষিত হয়ে উঠবো বৈকি! এতে কি খুব বেশি খুশি হবার কোন কারণ রয়েছে? নাকি মানুষ হবার জন্য আমাদের আন্দোলন হওয়া উচিৎ ঠিক এক্ষুণি! ”আমরা আসলে কেমন সভ্য জাতি”? যদি না মানুষের সাথে মানুষ হয়ে বাঁচতে পারি? তাই তো, আগামী দিনে সকল মা-বাবা সমস্বরে বলবে:”প্রতিটি পরিবারে অন্তত: একজন গর্দভ চাই!”

লেখক:

মো: তানজিমুল ইসলাম,সামাজিক ও উন্নয়ন কর্মী


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর