প্রকাশিত:
১০ মে ২০২৫, ১৮:১৩
ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের অবরোধ এবং উপত্যকায় দুই মাস ধরে প্রয়োজনীয় সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে ৬৫ হাজারেরও বেশি শিশু দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে। শুক্রবার (৯ মে) গাজার স্থানীয় সরকার এ কথা জানিয়েছে।
গাজার মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব এমন এক দুর্ভিক্ষ তৈরি করছে, যা বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করছে। ক্রসিং বন্ধ করে এবং খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ বহনকারী ৩৯,০০০ ত্রাণ ট্রাক আটকে দিয়ে ২৪ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে একটি নিয়মতান্ত্রিক অপরাধ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল, যা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
এতে বলা হয়েছে, ৪০ দিন ধরে সমস্ত বেকারি দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে, যার ফলে বেসামরিক মানুষ রুটি থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করায় ৬৫ হাজারেরও বেশি শিশু এখন অপুষ্টির কারণে অনাহারে মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘকে ইসরায়েলি অবরোধ বন্ধ করতে, ক্রসিং পুনরায় চালু করতে এবং গাজায় ত্রাণ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহের জন্য জরুরি হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে।
শুক্রবার জাতিসংঘের কর্মকর্তারা গাজার জন্য ইসরায়েলের সম্প্রতি প্রস্তাবিত মানবিক সহায়তা পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করার পর এই বিবৃতি প্রকাশিত হলো। কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়েছেন, ইসরায়েলি অবরোধ বেসামরিক দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং মৌলিক মানবিক মান পূরণে ব্যর্থতা আনতে পারে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলায় প্রায় ৫২,৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গত নভেম্বরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। উপত্যকাটির ওপর যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলারও মুখোমুখি।
মন্তব্য করুন: