প্রকাশিত:
১১ মে ২০২৫, ১৭:০৮
নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেত্রকোনা জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোবায়েল আহমেদ খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোবায়েল নেত্রকোনা পৌর শহরের কাটলী এলাকার মৃত শফিকুর রহমান খানের ছেলে।
শনিবার (১০ মে) রাত ১২টার দিকে কাটলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ।
তিনি আরও জানান, সোবায়েলের নামে নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। নাশকতার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে রোববার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত দল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোবায়েল আহমেদ খান এর প্রধান সহযোগী তার আপন ভাই যুবলীগ নেতা শফিক আহম্মেদ খান বাবুসহ কাটলী এলাকার ওসমান ভূইয়ার ছেলে হিরা (৪৫), মাসুম (৩৫), বাচ্চু ভূইয়ার ছেলে মানিক (৩২), মনু ভূ্ইয়ার ছেলে শ্রাবন (২৮), রাজীব (৩৮)সহ আরো একাধিক সহযোগী গ্রেপ্তার না হওয়ায় এলাকায় চাপা আতংঙ্ক বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ জমি দখল, চাাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে এসব সহযোগীদের বিরুদ্ধে। সোবায়েল আহমেদ এর এসব সহযোগীরা এলাকায় ত্রাস সৃস্টি করে, সোবায়েল এর রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে এখনও।
থানা-পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওয়ার আগেই গত বছরের ৩০ জুন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর আগে ২০২১ সালের ২৬ জুন রবিউল আওয়ালকে সভাপতি এবং সোবায়েল আহমেদ খানকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রলীগের এই আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রবিউল আওয়াল ও সোবায়েল আহমেদ খানের বিরুদ্ধে অন্তত তিনটি নাশকতা ও বিস্ফোরণ আইনে মামলা হয়। গত ১ অক্টোবর রবিউলকে ময়মনসিংহ শহরের গাঙ্গিনাপাড় এলাকা থেকে মডেল থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজের নেতৃত্বে সোবায়েল আহমেদকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি কাজী শাহনেওয়াজ আজ রোববার সকালে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোবায়েল আহমেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, স্থাপনা ভাঙচুর, লুটপাটসহ নাশকতার ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ আছে। এসব ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে থানায় তিনটি মামলা আছে।
মন্তব্য করুন: