শুক্রবার, ৬ই জুন ২০২৫, ২২শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ডিসিপ্লিন মানলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে যানজট-আইনশৃঙ্খলা
  • দুর্নীতিবাজরা নেই, তাই গরুর দাম কম
  • তেলের দাম কমানো হয়েছে, বাসে বাড়তি ভাড়া নিলেই ব্যবস্থা
  • বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পেল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল
  • চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • গুমের ঘটনা নিয়ে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত
  • শেখ মুজিব ও ৪ নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের খবর সঠিক নয়
  • ভারত থেকে ‘পুশ ইন’ ঠেকানো সম্ভব নয়
  • ৪ শতাধিক রাজনীতিবিদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল
  • ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস আজ, কাল থেকে লম্বা ছুটি

শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ১৭ মে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১৩ মে ২০২৫, ১২:৩২

মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৭ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা ১১টার দিকে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ দিন নির্ধারণ করেন।

এর আগে সোমবার (১২ মে) সকাল ১০টায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়ে দুপুর ১২টার দিকে শেষ হয়। সেদিন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা মামলার নানা তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে যুক্তি তুলে ধরেন। পরিপূর্ণ উপস্থাপন না হওয়ায় মঙ্গলবার আবারো শুনানি হয় এবং এরপর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মকুল জানান, মামলায় মোট ২৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাতটি জব্দ তালিকার মধ্যে ১৬ জন সাক্ষী ছিলেন, যাদের মধ্যে ১২ জন সাক্ষ্য দিয়ে জব্দকৃত আলামত আদালতে সত্যায়ন করেছেন। তিনটি মেডিকেল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী পাঁচজন চিকিৎসক আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে নিজ নিজ স্বাক্ষর শনাক্ত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এসব সাক্ষ্য-প্রমাণে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(২) ধারায় প্রধান আসামি হিটু শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের শিশু আছিয়া। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

ঘটনার পর দেশজুড়ে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়। স্থানীয় আইনজীবীরাও অভিযুক্তদের জন্য কোনো ধরনের আইনি সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দেন।

মূল অভিযুক্ত হিটু শেখ ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তবে তদন্ত শেষে ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) চারজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর